Swami Vivekanander Anudhyan

স্বামী বিবেকানন্দের অনুধ্যান

স্বামী বিবেকানন্দের অনুধ্যান


“কি করলে ভগবানের সান্নিধ্য পাওয়া যায়?”- প্রশ্ন করলেন এক নিষ্ঠাবতী ক্যাথলিক আমেরিকান মহিলা। উত্তরে বললুমঃ  দেখুন, রোজ দু-বেলা ধ্যানাভ্যাস করুন। ধ্যানের বিভিন্ন প্রণালী আছে, যেমন রূপের ধ্যান, গুণের ধ্যান, বাণীর ধ্যান, লীলার ধ্যান। এর মধ্যে লীলার ধ্যানটি বড় সুন্দর, সহজ ও সরস। ঈশ্বর যখন মানুষরূপ ধরে দৈবলীলা করেন তখন তিনি মানুষের ইন্দ্রিয়ের গোচর হন। মানুষ চোখ দিয়ে দেখে অবতারকে, কান দিয়ে শোনে তাঁর কথা, হাত দিয়ে স্পর্শ করে তাঁর রক্তমাংসের দেহকে। আপনি মনশ্চক্ষে প্রত্যক্ষ করুন - ঐ যীশু চলেছেন পথ ধরে। অগণিত মানুষ তাঁকে অনুসরণ করছে। যীশু সাইমনের বাড়িতে ঢুকলেন। পতিতা মেরী ম্যাগডেলেন যীশুর পা ধুইয়ে দিলেন নিজের চোখের জল দিয়ে। তারপর মাথার লম্বা চুল দিয়ে তাঁর পা মুছিয়ে দিলেন। মেরী তারপর আ্যলাবাস্টারের বাক্স থেকে সুগন্ধি ক্রীম বের করে তাঁর পায়ে মাখিয়ে দিলেন। করুণাময় ত্রাণকর্তা খ্রীস্ট মেরীর মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করলেন। 

খ্রীস্টের জীবনলীলার এই দৃশ্যগুলি একটার পর একটা দেখতে থাকুন! যত সময় না মানসপটে প্রথম দৃশ্যটি জ্বলজ্বল করে না জ্বলছে পরের দৃশ্যটি দেখবেন না। আস্তে আস্তে সব দৃশ্যগুলি যখন এক এক করে দেখা হয়ে গেল, লক্ষ্য করুন ঘড়ি । দেখবেন,আপনি স্থান-কাল-পাত্র ভুলে পনের-কুড়ি মিনিট যীশুর সান্নিধ্যে কাটিয়েছেন। একে বলে লীলার ধ্যান। 

এমনি করে মানুষ কৃষ্ণের: বুদ্ধের, চৈতন্যের, রামকৃষ্ণের জীবনলীলার বিভিন্ন অংশ ধ্যান করে তাঁদের সান্নিধ্য  লাভ করতে পারে। ভগবৎ-সান্নিধ্য অনুভবে দেহ পবিত্র হয়, প্রাণ জুড়ায়, মন শান্তিতে ও আনন্দে ভরপুর হয়ে যায়।(তথ্যসূত্রঃ"শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে" স্বামী চেতনানন্দ)

স্বামী চেতনানন্দজীর কথা সূত্র ধরেই বলি 'লীলার ধ্যানটি বড় সুন্দর, সহজ ও সরস।' আর আমরা এখানে সেই লীলার ধ্যানই করব। কিন্তু কার। স্বামী বিবেকানন্দের । স্বামীজীর জীবন এক মহা সমুদ্র । আমরা সেই জীবনের প্রত্যেকটি ঘটনা ও স্বামীজীর মুখ নিঃসৃত অমর বানীর ধ্যান করব।
***********

*******

Post a Comment

0 Comments