স্বামীজীর কথায় শিষ্যের কি কি গুণ আবশ্যক।
স্বামীজী বলছেন....
শিষ্যের এই গুণগুলি আবশ্যক—পবিত্রতা, প্রকৃত জ্ঞানপিপাসা ও অধ্যবসায়। অশুদ্ধাত্মা পুরুষ কখনও ধার্মিক হইতে পারে না। কায়মনোবাক্যে পবিত্র না হইলে কেহ কখনও ধার্মিক হইতে পারে না। আর জ্ঞানতৃষ্ণা সম্বন্ধে বলা যাইতে পারে যে, আমরা যাহা ছাই, তাহাই পাই—ইহা একটি সনাতন নিয়ম। যে বস্তু আমরা অন্তরের সহিত চাই, তাহা ছাড়া আমরা অন্য বস্তু লাভ করিতে পারি না। ধর্মের জন্য প্রকৃত ব্যাকুলতা বড় কঠিন জিনিষ; আমরা সচরাচর যত সহজ মনে করি, উহা তত সহজ নয়। শুধু ধর্মকথা শুনিলে আর ধর্মপুস্তক পড়িলেই যথেষ্টভাবে প্রমাণিত হয় না যে, হৃদয়ে ধর্মপিপাসা প্রবল হইয়াছে। যতদিন না প্রাণে ব্যাকুলতা জাগরিত হয় এবং যতদিন না আমরা প্রবৃত্তির উপর জয়লাভ করিতে পারি, ততদিন সদাসর্বদা অভ্যাস ও আমাদের পাশব প্রকৃতির সহিত নিরন্তর সংগ্রাম আবশ্যক। উহা দু-এক দিনের কর্ম নয়, কয়েক বৎসর বা দু-এক জন্মেরও কর্ম নয়; শত শত জন্ম ধরিয়া এই সংগ্রাম চলিতে পারে। কাহারও পক্ষে অল্পকালের মধ্যেই সিদ্ধিলাভ ঘটিতে পারে, কিন্তু যদি অনন্তকাল অপেক্ষা করিতে হয়, ধৈর্যের সহিত তাহার জন্যও প্রস্তুত থাকা চাই। যে শিষ্য এইরূপ অধ্যবসায়-সহকারে সাধনে প্রবৃত্ত হয়, তাহার সিদ্ধি অবশ্যম্ভাবী।
গ্রন্থসূত্রঃ- স্বামীজীর বাণী ও রচনা, চতুর্থ খণ্ড
পৃষ্ঠাঃ ১৯
 

 
 
![[eBook] স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনাঃ প্রথম খণ্ড](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjrzggSZqGTLsiijuAcoim-ixw_Y-6dV925fL8eDevPGazhAyhyphenhyphenagZswCVaOl80xoigTAREiqg9dc9Jp3kWqYWJUvHvyeCihPTt97Tsob34SEFAAiFLi3kerBWm7XHEu8eE57a9cjtJOQSv/w72-h72-p-k-no-nu/1.jpg) 
 
 
 
![[PDF] নিবেদিতা লোকমাতা (তৃতীয় খণ্ড)- শঙ্করীপ্রসাদ বসু](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgr3HhIVzKMN29byPiyVMNk4du7ooL5yVK9O8jKhatD9_NT_JYesvh8V6g1FMZGlGczwXbdk8lRXqKodUn8P7CJgBS91UfQeKSfsu8qARJwfqwKbSPA1knBueCkwQctzRXcc7pTMSsc4fW8/w72-h72-p-k-no-nu/13.jpg) 
 
![[ebook] স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনাঃ দ্বিতীয়  খণ্ড](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj69dcyuB15wPyM48SGMCWFHHqzgxVUj_migkTPQ9YkhvXpy1pHrnTvrbQQyzhMgHwyM5-G4JXpH9hNUonzViT22OZEscC4K5ZpGVntSSpc0lGQqxReNAkC3P_NEIvUD2XjVV2aW18bKoBR/w72-h72-p-k-no-nu/2.jpg) 
0 Comments