[eBook] বিবেকানন্দ স্মৃতি ~ Free PDF Download

~  বিবেকানন্দ স্মৃতি  ~

[eBook] বিবেকানন্দ স্মৃতি ~ Free PDF Download

ভূমিকা


ভগবান শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবস্বামী বিবেকানন্দ আজকের মানবতার ধ্রুবতারা। এ যুগের জীবনে তারাই দীপ হয়ে জ্বলে উঠেছেন, সুর হয়ে বেজে উঠেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণদেব নির্দেশিত পন্থায় তিলে তিলে আপন জীবনের পুনর্বিন্যাস ঘটিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ আপন সাধনার যে বহুমুখী রূপকে সার্থকতার স্তরে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তার সম্যক পরিচয় আজকের ভারতবাসী জানতে উন্মুখ,—এই বিশ্বাসই বর্তমান স্মারক গ্রন্থটির সম্পাদনার দায়িত্বকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছে। স্বামীজির জীবনী, সাধনা ও বাণী নিয়ে অনেক মনীষী অনেক কথাই লিখেছেন। দেশে বিদেশে তাদের পবিত্র স্মৃতির উদ্দেশ্যে কত আলাের মালা গাঁথা হয়েছে। সেই দীপাবলী উৎসবে আমি এসেছি আমার স্বামী বিবেকানন্দ-প্রাণতায় উদ্ভুদ্ধ কয়েকটি প্রাণপ্রদীপ নিয়ে। আলাের ঔজ্জ্বল্য ও বর্ণের সমারােহ অপেক্ষা শ্রদ্ধাশীল অনুভব এবং হৃদয়তন্ত্রীতে স্বামীজির বলিষ্ঠ কণ্ঠের অনুরণন হয়েছে আমার পুজি। যে লেখক ক’জন এসে সহযােগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, প্রসঙ্গ নির্বাচন, লেখার মূলগত লক্ষ্য এবং প্রত্যয়সজাত মৌলিকতায় শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সাহিত্যে তারা এক নূতন মর্যাদা বােধ প্রতিষ্ঠা করেছেন। পত্র-বিনিময়, যৌথ পাঠ ও আলােচনায়, সুএ সন্ধানের আগ্রহে তারা সম্পাদকের সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠেছেন। 
এই একাত্মবােধ আজ বড় বেশী প্রয়ােজন। বিশ্বের বৃহৎ ক্ষেত্রে যেমন যৌথ উদ্যোগের ধারা প্রবহমান হয়ে উঠেছে-স্বামীজির বলিষ্ঠ কল্পনাকে সত্য করে তুলে বিজ্ঞান ও বিবেককে একসূত্রে গ্রথিত করার মহাযজ্ঞে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য হাতে হাত ধরে এগােচ্ছে ভারতবর্ষের জাগতিক জীবন প্রতিষ্ঠায় নানা উদ্যোগে যেমন ইংল্যাণ্ড, জার্মানী, আমেরিকা ও রাশিয়া সহযােগিতায় জন্য এগিয়ে এসে অতীতের ভেদবুদ্ধির লজ্জাকে অতিক্রম করতে চাইছে - তেমন আবার প্ৰতিবেশী চীন ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হবার দুর্বার মােহে ভারতবর্ষকে, ভারতীয় জাতীয়তাকে আঘাত কতে এসেছে। তাই বলি একাত্মবােধের আজ প্রয়োজন বড় বেশী।
সন্ন্যাসীদের কাছে, গৃহীদের কাছে স্বামী বিবেকানন্দ একটি দাবী রেখেছেন। সেটি হল তামসিকতার বন্ধন ছিন্ন করে দেশ, মানবতা ও ঈশ্বরকে এক পরম সত্যের ত্রিরূপী প্রকাশ বলে চিনতে শিখতে হবে। এ শিক্ষাব্রতের পুরােভাগে শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রিত যে মহাভাগ্যবান ও মহাশক্তিমান সাধকরা রয়েছেন তাদের ভাষণ ও লিখন গত দুটি বৎসর ধরে উত্তর সাধকদের সন্ধান খুজছে। পরমপূজ্য স্বামী যতীশ্বরানন্দজীর এক পুণ্য ভাষণে রয়েছে :
“জাগ্রত ভারত আর নিদ্রাভিভূত হইবে না, বাহিরের কোনো শক্তিই আর তাহাকে দাবাইয়া রাখিতে পারিবে না।” (পৃ: ৪, Swami Vivekananda Birth Centenary Souvenir, Sri Sarada Math, Dakshineswar, 1963 ) পরমপূজ্য স্বামী “স”র পুণ্য সঙ্গীতাঞ্জলিতে সুর বেজে উঠেছে :
শংকর জাগাে শংকায় 
জাগাে হে বিবেক স্বামি 
কণ্ঠে মা ভৈঃ মন্থি
আনাে অমৃত বাণী। 

যে নিবীর্যতার আশ্রয়ে কলিকাতা মহানগরীতে স্বামীজির জন্মশতবার্ষিকীর উৎসব-বেদী সাম্প্রদায়িকতার গুপ্ত অগ্নিতে জ্বলে উঠেছিল, ভারতবর্ষের সকল সাধুকে, সমন্ত গৃহীকে বিবেক মন্ত্রের তপস্যায় তার নিরাকরণ করতেই হবে। পরমপূজ্য স্বামী যতীশ্বরানন্দের ভাষণে স্বামীজির বাণীই নিরাকরণের পথনির্দেশ বহন করছে : “সর্বপ্রথমে আমাদিগকে দেবত্বে প্রতিষ্ঠিত হইতে হইবে। তারপর সকলকেই দেবত্বে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য সাহায্য করিতে হইবে।

সত্যপ্রসাদ সেনগুপ্ত
সম্পাদক

Read PDF Online

Post a Comment

0 Comments